নরম বৃষ্টি পেরিয়ে
কোনও অভিমান নেই আর
ফুটপাত হারিয়ে গেছে এই অবেলায়
চুপচাপ নরম বৃষ্টি পেরিয়ে।
কান্নার চেয়েও পুরনো ক্ষতদাগ
সেলাই করছে প্রগলভ ফেরিঘাট।
মৃত্যু এসে দাঁড়িয়েছে বালিঘড়ির নিয়মে।
ক্লান্ত পথ ঘুমিয়ে পড়েছে পাখিদের ডাকে।
খেলা শেষ হলে রাত্রির তারায়
অশ্রুবিন্দু যত,
গড়িয়ে পড়বে অলৌকিক জ্যোৎস্নায়।
নিরুদ্দিষ্ট এক ঘুড়ি // স্নেহাংশু বিকাশ দাস
মাটির আয়নায় ছায়া খুঁজছে নিরুদ্দিষ্ট এক ঘুড়ি
জন্মলগ্ন ছুঁয়ে ভেসে যাচ্ছে আলোয়, তার
ডানা জুড়ে পাখিদের জন্মদিন, নরম হৃৎপিণ্ডধ্বনি
রোদ পড়ে এলে শান্ত মেষপালক ছুটে আসে
বেদনা আঁকা হাতে ছোট ছোট অন্ধকার
নিঃশব্দে মিশে যায় শরীরে শরীরে, ঘুমের ভেতরে
নিভৃত বৃষ্টিতে নিভে যাচ্ছে সন্দেহ, দিনান্তের কোলাহল
নীচে, আরও নীচে রয়ে গেছে ব্যভিচার, আশ্চর্য সমুদ্র
চারপাশে মেঘ ও রোদের মতো জেগে থাকে এক সাঁকো
জেগে থাকে – পরাভূত বেদনার কোলে, নীরব উপেক্ষায়
একাকী বালক এক হেঁটে আসে আদিঅন্তকাল, জীবন উৎসবে
গতজন্মের পাখি // স্নেহাংশু বিকাশ দাস
সেই ছেঁড়াফাটা মুখটা এখন অনেক নমনীয়
নানান কাজে থাকে সারাদিন
মধ্য চল্লিশেও স্রোতের গভীরে নামে অনায়াসে
মাঝে মাঝে মদের গ্লাসে রাখে জীবনের পথঘাট
দুঃখস্মৃতিগুলো নিয়ে নির্জন স্টেশন সাজায়
আর মধ্যরাতে অশান্ত আঙ্গুলে সে ছড় টানে
যেন ব্যুহের ভেতরে বৃষ্টি নেমে আসছে
লোকে ও অলোকে মিশে যায় পদাবলী
কীভাবে দুনিয়াদারি ভুলে
আঁধারেও বেজে ওঠে আনন্দসুর -
আমি শুধু সেই কথা ভাবি....
ঘুমের গভীরে উড়ে যায় গতজন্মের পাখি....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন