খোকা-খুকুর কান্ড
বর্ষাকাল এসে পড়ায় খুব সুবিধা হয়েছে মেয়েটার।ভেজা জামাকাপড় দেওয়ার নাম করে ছাদে ওঠে ,তারপর
টিপিরটিপির বৃষ্টি পড়তে শুরু করলে সেগুলো তুলতে লাফিয়ে লাফিয়ে থুড়ি পা টেনে টেনে ছাদে ওঠে।তারপর যেই
সুয্যিঠাকুর মেঘের আড়াল থেকে উঁকি দেন ওমনি মেয়েটা ভেজা জামাকাপড় গুলো নিয়ে আবার নড়ে নড়ে ছাদে
ওঠে। বৃষ্টির আসা যাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে থাকে মেয়েটার এই ছাদে ওঠা-নামা। রোজ জোর করে
কাজের মেয়ে লীলার হাত থেকে কেড়ে নেয় একগাদা জামাকাপড় ভর্তি বালতিটা,তারপর পা বাড়ায় তেতলার
দিকে।আপাতত সে তার সব রুমমেটদের ভিজে জামাকাপড় রোদে শুকানো করার দায়িত্ব নিয়েছে। দুটো বাড়ি পরের
ছাদে মাঝে মাঝেই আজকাল দেখা যায় ছেলেটাকে।লাঠি ঠুকে ঠুকে সেও প্রায়শই তিনতলার ছাদে ওঠে,আড়চোখে
তাকায় এপাশের ছাদের দিকে। হুঁ হুঁ বাবা! কি ভেবেছে টা কী,আমি কি কিছু বুঝি না,বয়স তো আমার কম হল
না!আমার বয়স যদি হয় দেড়শো বছর ,তো ওই ছেলে-মেয়ে দুটোর সত্তর খানেক। আমার কাছে ওরা কচি খোকা-
খুকু। বর্ষা এলে আমার শাখা-প্রশাখায়,পাতায়-পাতায় খুশি যেমন উপচে পড়ে,ওদের মনেও এখন তেমনি এক নতুন
ধরনের পুলকের ঝর্না বইছে , খুব বুঝতে পারছি আমি। এমনি এমনি এতদিনে আমার আসল গুঁড়িখানা থেকে গোটা
পঞ্চাশেক ঝুরি নামেনি!
দুর্দান্ত!
উত্তরমুছুনদারুণ
উত্তরমুছুন