পদ্মপাতার জল.. ------------------------------ হাতে হাত রাখা সহজ। রেখেছিলে তাই। শুধু কথা রাখো নি। প্রথম শ্রাবণে আঁকা বেহুলার ছবি মনে পড়ে? পদ্মপাতার জলে মন ভিজে যায় ক্রমশঃ।নিশীথ জ্যোৎস্নায় তোমাকে আঁকার প্রবল ইচ্ছে জাগে। দীর্ঘপথ ছাড়া কিছু নেই। রিংটোন বদলে যায়। কলার টিউনে বাজে হরকরকম্বা।তোমার অপেক্ষায় অবিরাম দুপুরের বাস। বুকভরা নিথর জল। স্বয়ংবর সভা। শিরায় শিরায় নদীর প্রশ্নচিহ্ন। পথের শেষে নগ্ন হাতে রক্ত সন্ধের বিষণ্ণতা। নিঃঝুম অন্ধকার, নিঃশব্দ কথা, মোহিত স্বপ্নের উল্লাস, দ্বন্দ্বের ভিড়.... ওলট -পালট ধ্রুবতারা...... ২) তন্দ্রা... কোজাগরী মধ্যরাতের ব্যালকনিতে কুয়াশা মানব। রাত্রিকালীন ঘুম শেষ জীবনের অনুচ্চারিত টুপটাপ। বর্ষা গভীর হলে জলবিন্দু রেখে যায় বিরোধালঙ্কার। বিস্মৃতির নানা রঙে বটের ঝুড়ি। আধপোড়া স্বপ্ন ; ছায়াশরীর তন্দ্রা জাগে, শেকড়ে ঝমঝম.. বৃষ্টির শব্দে জীবনের সাড়েপনেরো আনাই বাকি.. গোধুলি আলো জলছবি পলাশের কান্না ; সঙ্গম..... ভৈরবী বেজে চলে.... ৩) আষাঢ়ে....... কোজাগরী হারতে হারতে যদি জিতে যাই কোন একদিন.... ফুটবে সেদিন আচমকাই আষাঢ়ে বসন্তের ফুল। মহানন্দায় স্বপ্নের সালতামামি। জোনাকির অবিশ্রান্ত কান্না। রজনীগন্ধায় ভেজা ভোর... বসন্তের আঘ্রাণ এসে কোকিলের হাহাকারে বুঝিয়ে দেবে দূরত্বের গোপন ঠিকানা। জীবনের তানপুরায় হিসেবের চোরাবালি... |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন